এই বছর গ্রীষ্মের শুরুতেই চল্লিশ ডিগ্রির গন্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল একাধিক জেলার তাপমাত্রা। আর সেই প্রভাব জারি ছিল বৈশাখের প্রতিটা দিনই। এমনকি শহর কলকাতায় গত ৪০ বছরের গরমের রেকর্ড ভেঙে গিয়েছিল এই গ্রীষ্মে। কার্যত প্রবল গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল রাজ্যবাসীর। তবে কয়েকদিন আগে রাজ্যের বুকে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকছিল জলীয় বাষ্প। যে কারণে গত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।
এসবের কারণে তাপপ্রবাহ এখন নেই কোথাও। পাশাপাশি, গরমের দাপট কমে গিয়েছে জেলায় জেলায়। যেসব জেলায় কয়েকদিন আগেও তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি, সেখানে এখন মেরেকেটে ৩৫। আবার শীঘ্রই বর্ষার আগমন ঘটবে বলেও জানা গেছে। তাই এখন তাপপ্রবাহের তেমন পূর্বাভাস নেই। সেই কারণেই রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলি খোলার দাবি জোরালো হচ্ছিল দিন দিন। আর কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে একটি বড় আপডেট এসেছে।
উল্লেখ্য, এবছর আগেভাগে গরমের ছুটি পড়েছে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ঘোষণা করেছিল যে ৬ মে থেকে গরমের ছুটি পড়বে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। ছুটি থাকবে ২ জুন অবধি। তবে তারপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয় চরম তাপপ্রবাহ। এদিকে আবার শুরু হয় লোকসভা নির্বাচন। তাই এবার আরো এগিয়ে আনা হয় গরমের ছুটি। গত ২২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল। তবে এবার শিক্ষা দফতর গরমের ছুটি শেষের দিনক্ষণ জানিয়ে দিল। জানা গেছে, আগামী ৩ জুন থেকে খুলবে রাজ্যের সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে এই দিন স্কুল খুললেও পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলছে আগামী ১০ ই জুন। সম্প্রতি, এই নির্দেশিকা জারি করলো শিক্ষা দফতর। কারণ, ১ জুন শেষ হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। ততদিন পর্যন্ত স্কুলে স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা থাকবেন। সেই সঙ্গে স্কুলে স্কুলে বুথ হয়েছে। আর এইসব কারণেই স্কুলের পরিচ্ছন্নতা জরুরি। তাই ৩ জুন স্কুল খুলে গেলেও পড়ুয়াদের জন্য ১০ জুন থেকে পঠনপাঠন শুরু হবে বলে জানা গেছে।